শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর : ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের পর পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্নস্থানে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়েছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা। দাবিগুলো হচ্ছে- আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে নির্বাহী ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন।
সেই সঙ্গে অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় তার পছন্দের একটি বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিও জানান বিএনপি নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার মতো দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, শহর ও পৌরসভায় একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও অঙ্গ দলগুলোর নেতাকর্মীরা। গাজীপুরে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। পুলিশি লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণে মহিলা দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ারা বেগম, যুবদল নেতা সাজেদুল মোল্লাসহ ২০ জনের মতো নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে সকল রাজনৈতিক দলের বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিয়ে মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দল। এই সরকারের দিন শেষ, জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখলে তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার আগেই দলমতনির্বিশেষে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এখন আমাদের দরকার সে ঐক্য, ইস্পাত কঠিন ঐক্য। দল ও জনগণের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অচলায়তনকে ভাঙতে হবে। এই সরকার যারা বুকের ওপর পাথরের মতো বসে আছে তাদেরকে সরাতে হবে। জনগণের গণতন্ত্র ও জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি।
এটা কোনো করুণা চাচ্ছি না, কোনো দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি না। তার যেটা প্রাপ্য-তিনি জামিন পেয়েছেন। সেই জামিনে তাকে মুক্ত করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে থাকেন তাহলে এদেশের মানুষের কাছে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না। আর দেশনেত্রীকে মুক্তি দিলে তাহলেই বোঝা যাবে এই সরকার দেশে নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার সারা দেশে ভৌতিক মামলা করছে। ঈদুল আজহার পর থেকে ১ লাখ মানুষকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ হাজার নেতাকর্মীকে। গ্রামেগঞ্জেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমোতে পারছে না। সেই সঙ্গে হুমকি-ধামকি দিয়ে গোটা জাতিকে জিম্মিতে পরিণত করেছে। কিন্তু গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দায়ের আর হুমকি-ধামকি দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না।
নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির দাবিগুলো তুলে ধরে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে তফসিল ঘোষণার আগেই। সংসদ ভেঙে দিতে হবে তফসিল ঘোষণার আগেই। নির্বাচন পরিচালনায় একটা নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সব অর্জনকে তারা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণের ষড়যন্ত্র করছে। আর পার্লামেন্টকে পরিণত করেছে প্রহসনে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু ক্ষুব্ধ হলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সরকারকে হটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু, সরকার তার চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানা করছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে সরকার আবারো ২০১৪ সালের ৫ই জানুুয়ারির মতো একটি যেনতেন নির্বাচন করতে চাইছে। এ জন্য আদালত থেকে জামিন হওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, কিন্তু দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সারা দেশের মানুষ যেমন এই দাবিতে একমত, সারা বিশ্বও বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। তাই খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেয়া হবে না। তফসিল ঘোষণার আগে আমাদের সকল দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় জনগণ একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন করবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে তার মতোই ভূমিকা পালন করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নির্বাচন করে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়াকে নাগরিক হিসেবে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে। তিনি বলেন, খালেদাকে মুক্ত করে গণতন্ত্রের লড়াই এগিয়ে নিয়ে, সব দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাবে বিএনপি। চতুর্থবারের মতো তাকে প্রধানমন্ত্রী করবে এ দেশের মানুষ।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, এনপিপি’র সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, ছাত্রদলের রাজীব আহসানসহ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেন।
এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালাম, স্বনির্ভর সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জোটের শরিক জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম ও লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোকতার হোসেনসহ বিএনপি ও জোটের শরিক দলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
ব্যাপক ধরপাকড়
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ পুরো এলাকাটিতে নিরাপত্তা জাল তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে আশেপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছিল তৎপর।
এদিকে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। জমায়াতের পরিধি বেড়ে প্রেস ক্লাব থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনের কদম ফোয়ারা ও অন্যদিকে পল্টন মোড় পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।
নানা বয়সের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। একপর্যায়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েতের কারণে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওদিকে ১১টার দিকে পল্টন মোড়, সেগুনবাগিচা ও শিল্পকলার সামনে সহ কয়েকটি স্পটে মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে থেকে দ্রুত সরে যেতে থাকেন বিএনপি সহ অঙ্গ দলের কিছু নেতা। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মানববন্ধন থেকে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে।
দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার: বিএনপি
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পুলিশ সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বিকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও গাজীপুর, বাগেরহাট, মেহেরপুরসহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচিতে আসা-যাওয়ার পথে সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী বিনা উস্কানিতে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। গ্রেপ্তার করেছে নির্বিচারে।
এই গ্রেপ্তার থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাদের গাড়িচালকরাও রক্ষা পায়নি। বিএনপির কর্মসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করেছে। রিজভী বলেন, পুলিশের যেন আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনামাফিক পুলিশ গাজীপুরে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও গ্রেপ্তার করেছে।
রিজভী বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচির ওপর পুলিশি এই আক্রমণ নৃশংস দস্যুতার নামান্তর মাত্র। তাহলে মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিলেন কী ওত পেতে গ্রেপ্তার করার জন্য? আমরা সরকারকে বলে দিতে চাই, এতে আপনাদের শেষ রক্ষা হবে না। যতই ট্রেন, লঞ্চে চড়ুন না কেন ডুবন্ত নৌকাকে আর ভাসানো যাবে না।
গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী জানান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল মতিন, লেবার পার্টির যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম, গাজীপুর থেকে প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহ’র বড় ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, জিসিসি কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফ হোসেন, রমনা থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাবু, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামনু, নবাবগঞ্জ থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুজ্জামান, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল সভাপতি মোহাম্মদ সুলায়মান, দক্ষিণখান থানা যুবদল সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ রাসেল, গুলশান থানা যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মেহরান জাবিন ফারুক, ক্যান্টনমেন্ট থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ যুবদলের ৫০ জন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এইচ এম জাফর আলী খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারীসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩০ জন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪০ জন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গাজী মনিরুজ্জামান মানিক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ঢাকা কলেজ শাখার সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাভেল শিকদার, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য আবু ওবায়েদ শাহেদসহ ৫০ জন, গাজীপুরে ২৫ জন, বাগেরহাটে ৬ জন, মেহেরপুরে ১১ জনসহ আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান। সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, সহ নার্সেস বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ওদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ বা গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ প্রতীকী অনশন পালিত হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বিএনপি।